হায়ারিং ম্যানেজার কি আপনার পোর্টফোলিওতে ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় দিচ্ছেন?
একবার ভাবুন তো, একজন হায়ারিং ম্যানেজার প্রতিদিন কত শত পোর্টফোলিও দেখেন? চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতেই হয়তো তিনি আপনার লিঙ্কে ক্লিক করলেন।



Credit:
NanoBanana
সত্যি বলতে, আপনার ডিজাইন করা অসাধারণ জগৎটিতে ঘুরে দেখার জন্য তার হাতে ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় নেই। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, আপনার সাথে তিনি কফি খেতে খেতে গল্প করতে চান, নাকি পরের আবেদনকারীর প্রোফাইলে চলে যাবেন।
ডিজাইনার হিসেবে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দিয়ে নিখুঁত একটি প্রোজেক্ট তৈরি করি, কিন্তু সেই গল্পটা যদি আকর্ষণীয়ভাবে বলতে না পারি, তাহলে সব চেষ্টাই বৃথা। চলুন, এমন কিছু সাধারণ ভুলের কথা জেনে নিই, যা আপনার পোর্টফোলিওকে পরের ধাপে যেতে বাধা দেয়।

১. প্রথম দর্শনেই হোঁচট খাওয়া:
ধরুন, আপনি একটি দারুণ রেস্টুরেন্টে খেতে গেলেন, কিন্তু ঢোকার মুখেই দেখলেন সবকিছু অপরিষ্কার। আপনার মনটা খারাপ হয়ে যাবে, তাই না? আপনার পোর্টফোলিওটিও ঠিক তেমনই। যদি ছবিগুলো ঝাপসা হয়, লেখায় বানান ভুল থাকে, বা সাইট লোড হতে অনেক সময় নেয় – তবে হায়ারিং ম্যানেজারের প্রথম অভিজ্ঞতাই খারাপ হবে। এটি আপনার কাজের প্রতি অমনোযোগিতা এবং অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়। তাই, পোর্টফোলিও কাউকে পাঠানোর আগে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা, তা কয়েকবার দেখে নিন।

২. গল্পের শুরুটাই যদি পানসে হয়:
"Project ABC - A UI/UX Case Study" – এই ধরনের শিরোনাম পড়লে কি আপনার আগ্রহ জাগে? সম্ভবত না। আপনার প্রতিটি কেস স্টাডি এক-একটি গল্পের মতো। সেই গল্পের একটি সুন্দর নাম দিন, শুরুটা করুন কোনো সমস্যা বা প্রশ্ন দিয়ে, যা পাঠককে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে। পাঠককে বোঝানোর চেষ্টা করুন, কেন এই কাজটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং আপনি কীভাবে এর সমাধান করেছেন। একঘেয়ে ভূমিকা দিয়ে শুরুতেই পাঠকের মনোযোগ হারিয়ে ফেলবেন না।

৩. “মহাভারত” লেখার লোভ সামলান:
আমরা আমাদের কাজ নিয়ে গর্বিত, আর তাই প্রতিটি ছোটখাটো বিষয়ও তুলে ধরতে চাই। কিন্তু মনে রাখবেন, হায়ারিং ম্যানেজার আপনার সম্পূর্ণ গবেষণা পত্রটি পড়তে বসেননি। তিনি শুধু জানতে চান, সমস্যাটা কী ছিল, আপনি কী করেছেন এবং তার ফল কী হয়েছে। আপনার কেস স্টাডি হওয়া উচিত সংক্ষিপ্ত এবং মূল বিষয়ের উপর কেন্দ্র করে। অপ্রয়োজনীয় লেখা এবং ছবির ভিড়ে মূল গল্পটি যেন হারিয়ে না যায়। কম কথায় মূল বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার দক্ষতাও কিন্তু একজন ভালো ডিজাইনারের পরিচয়।

৪. “আমরা” নয়, বলুন “আমি” কী করেছি:
দলগত প্রকল্পে কাজ করা দারুণ ব্যাপার, কিন্তু পোর্টফোলিওতে হায়ারিং ম্যানেজার জানতে চান আপনার ভূমিকা কী ছিল। "আমরা এটা করেছি," "আমরা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছি" – এই ধরনের কথা আপনার ব্যক্তিগত দক্ষতাকে তুলে ধরে না। আপনি ঠিক কোন কাজটি করেছেন, কোন আইডিয়াটা আপনার ছিল, এবং দলের সাফল্যে আপনার অবদান ঠিক কতটুকু, তা স্পষ্টভাবে বলুন। নিজের কাজের কৃতিত্ব নিতে দ্বিধা করবেন না।

৫. ধার করা টেমপ্লেটে নিজের পরিচয় হারানো:
ইন্টারনেটে পাওয়া সুন্দর টেমপ্লেট ব্যবহার করে হয়তো পোর্টফোলিও দেখতে আকর্ষণীয় লাগে, কিন্তু এতে আপনার নিজস্বতা হারিয়ে যায়। যখন একাধিক প্রার্থী একই রকম টেমপ্লেট ব্যবহার করে, তখন কারও কাজই আর আলাদাভাবে চোখে পড়ে না। আপনার পোর্টফোলিও হলো আপনার পরিচয়ের প্রতিচ্ছবি। এটিকে নিজের মতো করে সাজান, যা আপনার ডিজাইন ভাবনা এবং ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে।
শেষ কথা হলো, আপনার পোর্টফোলিও শুধু কিছু ছবির সংগ্রহ নয়, এটি আপনার চিন্তাভাবনা এবং দক্ষতার গল্প বলার একটি মাধ্যম। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনার গল্পটি ৩০ সেকেন্ডের পরেও পাঠকের মনে জায়গা করে নেবে এবং ইন্টারভিউয়ের দরজাও খুলে দেবে।
সত্যি বলতে, আপনার ডিজাইন করা অসাধারণ জগৎটিতে ঘুরে দেখার জন্য তার হাতে ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় নেই। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, আপনার সাথে তিনি কফি খেতে খেতে গল্প করতে চান, নাকি পরের আবেদনকারীর প্রোফাইলে চলে যাবেন।
ডিজাইনার হিসেবে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দিয়ে নিখুঁত একটি প্রোজেক্ট তৈরি করি, কিন্তু সেই গল্পটা যদি আকর্ষণীয়ভাবে বলতে না পারি, তাহলে সব চেষ্টাই বৃথা। চলুন, এমন কিছু সাধারণ ভুলের কথা জেনে নিই, যা আপনার পোর্টফোলিওকে পরের ধাপে যেতে বাধা দেয়।

১. প্রথম দর্শনেই হোঁচট খাওয়া:
ধরুন, আপনি একটি দারুণ রেস্টুরেন্টে খেতে গেলেন, কিন্তু ঢোকার মুখেই দেখলেন সবকিছু অপরিষ্কার। আপনার মনটা খারাপ হয়ে যাবে, তাই না? আপনার পোর্টফোলিওটিও ঠিক তেমনই। যদি ছবিগুলো ঝাপসা হয়, লেখায় বানান ভুল থাকে, বা সাইট লোড হতে অনেক সময় নেয় – তবে হায়ারিং ম্যানেজারের প্রথম অভিজ্ঞতাই খারাপ হবে। এটি আপনার কাজের প্রতি অমনোযোগিতা এবং অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়। তাই, পোর্টফোলিও কাউকে পাঠানোর আগে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা, তা কয়েকবার দেখে নিন।

২. গল্পের শুরুটাই যদি পানসে হয়:
"Project ABC - A UI/UX Case Study" – এই ধরনের শিরোনাম পড়লে কি আপনার আগ্রহ জাগে? সম্ভবত না। আপনার প্রতিটি কেস স্টাডি এক-একটি গল্পের মতো। সেই গল্পের একটি সুন্দর নাম দিন, শুরুটা করুন কোনো সমস্যা বা প্রশ্ন দিয়ে, যা পাঠককে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে। পাঠককে বোঝানোর চেষ্টা করুন, কেন এই কাজটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং আপনি কীভাবে এর সমাধান করেছেন। একঘেয়ে ভূমিকা দিয়ে শুরুতেই পাঠকের মনোযোগ হারিয়ে ফেলবেন না।

৩. “মহাভারত” লেখার লোভ সামলান:
আমরা আমাদের কাজ নিয়ে গর্বিত, আর তাই প্রতিটি ছোটখাটো বিষয়ও তুলে ধরতে চাই। কিন্তু মনে রাখবেন, হায়ারিং ম্যানেজার আপনার সম্পূর্ণ গবেষণা পত্রটি পড়তে বসেননি। তিনি শুধু জানতে চান, সমস্যাটা কী ছিল, আপনি কী করেছেন এবং তার ফল কী হয়েছে। আপনার কেস স্টাডি হওয়া উচিত সংক্ষিপ্ত এবং মূল বিষয়ের উপর কেন্দ্র করে। অপ্রয়োজনীয় লেখা এবং ছবির ভিড়ে মূল গল্পটি যেন হারিয়ে না যায়। কম কথায় মূল বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার দক্ষতাও কিন্তু একজন ভালো ডিজাইনারের পরিচয়।

৪. “আমরা” নয়, বলুন “আমি” কী করেছি:
দলগত প্রকল্পে কাজ করা দারুণ ব্যাপার, কিন্তু পোর্টফোলিওতে হায়ারিং ম্যানেজার জানতে চান আপনার ভূমিকা কী ছিল। "আমরা এটা করেছি," "আমরা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছি" – এই ধরনের কথা আপনার ব্যক্তিগত দক্ষতাকে তুলে ধরে না। আপনি ঠিক কোন কাজটি করেছেন, কোন আইডিয়াটা আপনার ছিল, এবং দলের সাফল্যে আপনার অবদান ঠিক কতটুকু, তা স্পষ্টভাবে বলুন। নিজের কাজের কৃতিত্ব নিতে দ্বিধা করবেন না।

৫. ধার করা টেমপ্লেটে নিজের পরিচয় হারানো:
ইন্টারনেটে পাওয়া সুন্দর টেমপ্লেট ব্যবহার করে হয়তো পোর্টফোলিও দেখতে আকর্ষণীয় লাগে, কিন্তু এতে আপনার নিজস্বতা হারিয়ে যায়। যখন একাধিক প্রার্থী একই রকম টেমপ্লেট ব্যবহার করে, তখন কারও কাজই আর আলাদাভাবে চোখে পড়ে না। আপনার পোর্টফোলিও হলো আপনার পরিচয়ের প্রতিচ্ছবি। এটিকে নিজের মতো করে সাজান, যা আপনার ডিজাইন ভাবনা এবং ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে।
শেষ কথা হলো, আপনার পোর্টফোলিও শুধু কিছু ছবির সংগ্রহ নয়, এটি আপনার চিন্তাভাবনা এবং দক্ষতার গল্প বলার একটি মাধ্যম। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনার গল্পটি ৩০ সেকেন্ডের পরেও পাঠকের মনে জায়গা করে নেবে এবং ইন্টারভিউয়ের দরজাও খুলে দেবে।
সত্যি বলতে, আপনার ডিজাইন করা অসাধারণ জগৎটিতে ঘুরে দেখার জন্য তার হাতে ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় নেই। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, আপনার সাথে তিনি কফি খেতে খেতে গল্প করতে চান, নাকি পরের আবেদনকারীর প্রোফাইলে চলে যাবেন।
ডিজাইনার হিসেবে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দিয়ে নিখুঁত একটি প্রোজেক্ট তৈরি করি, কিন্তু সেই গল্পটা যদি আকর্ষণীয়ভাবে বলতে না পারি, তাহলে সব চেষ্টাই বৃথা। চলুন, এমন কিছু সাধারণ ভুলের কথা জেনে নিই, যা আপনার পোর্টফোলিওকে পরের ধাপে যেতে বাধা দেয়।

১. প্রথম দর্শনেই হোঁচট খাওয়া:
ধরুন, আপনি একটি দারুণ রেস্টুরেন্টে খেতে গেলেন, কিন্তু ঢোকার মুখেই দেখলেন সবকিছু অপরিষ্কার। আপনার মনটা খারাপ হয়ে যাবে, তাই না? আপনার পোর্টফোলিওটিও ঠিক তেমনই। যদি ছবিগুলো ঝাপসা হয়, লেখায় বানান ভুল থাকে, বা সাইট লোড হতে অনেক সময় নেয় – তবে হায়ারিং ম্যানেজারের প্রথম অভিজ্ঞতাই খারাপ হবে। এটি আপনার কাজের প্রতি অমনোযোগিতা এবং অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়। তাই, পোর্টফোলিও কাউকে পাঠানোর আগে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা, তা কয়েকবার দেখে নিন।

২. গল্পের শুরুটাই যদি পানসে হয়:
"Project ABC - A UI/UX Case Study" – এই ধরনের শিরোনাম পড়লে কি আপনার আগ্রহ জাগে? সম্ভবত না। আপনার প্রতিটি কেস স্টাডি এক-একটি গল্পের মতো। সেই গল্পের একটি সুন্দর নাম দিন, শুরুটা করুন কোনো সমস্যা বা প্রশ্ন দিয়ে, যা পাঠককে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে। পাঠককে বোঝানোর চেষ্টা করুন, কেন এই কাজটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং আপনি কীভাবে এর সমাধান করেছেন। একঘেয়ে ভূমিকা দিয়ে শুরুতেই পাঠকের মনোযোগ হারিয়ে ফেলবেন না।

৩. “মহাভারত” লেখার লোভ সামলান:
আমরা আমাদের কাজ নিয়ে গর্বিত, আর তাই প্রতিটি ছোটখাটো বিষয়ও তুলে ধরতে চাই। কিন্তু মনে রাখবেন, হায়ারিং ম্যানেজার আপনার সম্পূর্ণ গবেষণা পত্রটি পড়তে বসেননি। তিনি শুধু জানতে চান, সমস্যাটা কী ছিল, আপনি কী করেছেন এবং তার ফল কী হয়েছে। আপনার কেস স্টাডি হওয়া উচিত সংক্ষিপ্ত এবং মূল বিষয়ের উপর কেন্দ্র করে। অপ্রয়োজনীয় লেখা এবং ছবির ভিড়ে মূল গল্পটি যেন হারিয়ে না যায়। কম কথায় মূল বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার দক্ষতাও কিন্তু একজন ভালো ডিজাইনারের পরিচয়।

৪. “আমরা” নয়, বলুন “আমি” কী করেছি:
দলগত প্রকল্পে কাজ করা দারুণ ব্যাপার, কিন্তু পোর্টফোলিওতে হায়ারিং ম্যানেজার জানতে চান আপনার ভূমিকা কী ছিল। "আমরা এটা করেছি," "আমরা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছি" – এই ধরনের কথা আপনার ব্যক্তিগত দক্ষতাকে তুলে ধরে না। আপনি ঠিক কোন কাজটি করেছেন, কোন আইডিয়াটা আপনার ছিল, এবং দলের সাফল্যে আপনার অবদান ঠিক কতটুকু, তা স্পষ্টভাবে বলুন। নিজের কাজের কৃতিত্ব নিতে দ্বিধা করবেন না।

৫. ধার করা টেমপ্লেটে নিজের পরিচয় হারানো:
ইন্টারনেটে পাওয়া সুন্দর টেমপ্লেট ব্যবহার করে হয়তো পোর্টফোলিও দেখতে আকর্ষণীয় লাগে, কিন্তু এতে আপনার নিজস্বতা হারিয়ে যায়। যখন একাধিক প্রার্থী একই রকম টেমপ্লেট ব্যবহার করে, তখন কারও কাজই আর আলাদাভাবে চোখে পড়ে না। আপনার পোর্টফোলিও হলো আপনার পরিচয়ের প্রতিচ্ছবি। এটিকে নিজের মতো করে সাজান, যা আপনার ডিজাইন ভাবনা এবং ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে।
শেষ কথা হলো, আপনার পোর্টফোলিও শুধু কিছু ছবির সংগ্রহ নয়, এটি আপনার চিন্তাভাবনা এবং দক্ষতার গল্প বলার একটি মাধ্যম। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনার গল্পটি ৩০ সেকেন্ডের পরেও পাঠকের মনে জায়গা করে নেবে এবং ইন্টারভিউয়ের দরজাও খুলে দেবে।
এইসব লেখা নিয়ে কি একটা নিউজলেটার চালু করা উচিত?
মেইলে জানাতে পারেন, ভালো সাড়া পেলে শুরু করতে পারি!