UX Myths (পর্ব ৮): ডিজাইন আগে, কনটেন্ট পরে — আসলেই কি তাই?
মাঝেমধ্যেই ক্লায়েন্টরা বলে থাকে যে, "ব্র, ওয়েবসাইটের ডিজাইনটা আগে তাড়াতাড়ি রেডি করে ফেলো। দেখতে যেন দারুণ, আকর্ষণীয় আর মডার্ন হয়! লেখা বা কনটেন্ট কী হবে, ওটা আমরা পরে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে বসিয়ে দেবো।"



Credit:
Medium
'কনটেন্ট পরে আসবে'—এই ধারণাটি হলো UX জগতের একটি ক্লাসিক এবং মারাত্মক মিথ। ডিজাইন এবং কনটেন্টকে দুটি আলাদা জগৎ ভাবা এবং একটিকে ছাড়া অন্যটির কাজ শুরু করা মানে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা।
সত্যিটা হলো, ডিজাইন এবং কনটেন্ট স্বামী-স্ত্রীর মতো। একটিকে ছাড়া অন্যটি অসম্পূর্ণ এবং প্রায় অর্থহীন। ডিজাইন হলো কনটেন্টের ধারক, আর কনটেন্ট হলো ডিজাইনের আত্মা।
এই ব্যাপারটা পানির মতো সহজে বুঝতে চলুন আমরা আজ এক ক্লায়েন্ট এবং এক দর্জির দোকানে যাই।
গল্প: কাপড় ছাড়া শার্ট বানানোর অর্ডার!
ভাবুন, আপনি একজন নামকরা দর্জির কাছে গেলেন। গিয়ে খুব ভাব নিয়ে বললেন, "ওস্তাদ, আমার জন্য একটা ফাটাফাটি শার্ট বানিয়ে দিন তো!"
দর্জির যৌক্তিক প্রশ্ন: দর্জি স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে জিজ্ঞেস করলো, "অবশ্যই বানিয়ে দেবো, স্যার। কাপড়টা দিন।"
ক্লায়েন্টের অযৌক্তিক উত্তর (মিথটির প্রয়োগ): আপনি জবাবে বললেন, "আরে কাপড় তো এখনও কেনা হয়নি! ওটা পরে দেখা যাবে। আপনি আপনার মতো করে একটা সেরা ডিজাইন বানান, আমার শরীরের মাপ নেন, কাটিং করেন, সুই-সুতা দিয়ে সেলাই করে রাখেন। কাপড় আমি পরে একসময় এনে দেবো।"
এরপর যা ঘটলো: এই কথা শোনার পর দর্জি সম্ভবত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আপনার দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থাকবে। তার মাথায় ঘুরবে হাজারো প্রশ্ন:
কাপড় ছাড়া আমি মাপ দিয়ে কী করব?
সিল্কের কাপড়ের ডিজাইন আর জিন্সের কাপড়ের ডিজাইন কি এক হয়?
কাপড়ের রঙ বা প্রিন্ট না দেখে আমি বোতামের রঙ কীভাবে মেলাবো?
ওয়েবসাইট ডিজাইন করার আগে কনটেন্ট চাওয়াটা ঠিক দর্জির কাপড় চাওয়ার মতোই যৌক্তিক। কনটেন্ট (লেখা, ছবি, ভিডিও) ছাড়া ডিজাইন করাটা অনেকটা কাপড় ছাড়াই শার্ট সেলাই করার মতো একটি হাস্যকর এবং অসম্ভব প্রচেষ্টা।
"লরেম ইপসাম" (Lorem Ipsum) নামক মস্ত বড় ফাঁদ
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ডিজাইনাররা প্রায়ই কিছু অর্থহীন Placeholder Text ব্যবহার করেন, যা "Lorem Ipsum dolor sit amet..." দিয়ে শুরু হয়। কিন্তু এই 'লরেম ইপসাম' একটা মস্ত বড় ধোঁকা। কারণ:
লরেম ইপসাম খুবই সুশৃঙ্খল: এর শব্দগুলো ছোট, লাইনগুলো সমান, প্যারাগ্রাফগুলো নিখুঁত। কিন্তু বাস্তব জীবনের কনটেন্ট এমন গোছানো হয় না।
বাস্তবতার সাথে এর কোনো মিল নেই:
বাস্তব হেডলাইন হতে পারে অনেক লম্বা, যা আপনার সুন্দর ডিজাইন এক মুহূর্তে ভেঙে দিতে পারে।
বাস্তব ব্যবহারকারীর নাম হতে পারে 'কাজী আশরাফুজ্জামান চৌধুরী', যা আপনার ডিজাইনের ছোট্ট "Name" ফিল্ডে কিছুতেই আঁটবে না।
বাস্তব ছবিগুলো হয়তো মোবাইলে তোলা, যা আপনার বানানো নিখুঁত চারকোণা ফ্রেমের সাথে কখনোই মিলবে না।
লরেম ইপসাম দিয়ে ডিজাইন করা মানে একটি ভঙ্গুর কাঁচের ঘর বানানো, যা বাস্তবতার প্রথম আঘাতেই ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।
সঠিক উপায়: 'কনটেন্ট-ফার্স্ট' ডিজাইন
সঠিক এবং কার্যকর পদ্ধতিটি হলো "Content-First" বা 'কনটেন্ট আগে'।
এর মানে এই নয় যে আপনাকে প্রথম দিনেই ওয়েবসাইটে ব্যবহারের জন্য ফাইনাল, নির্ভুল এবং ব্যকরণ-সম্মত কনটেন্ট নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য কী, মূল বার্তা কী, কী কী সেকশন থাকবে, প্রতিটি সেকশনে আনুমানিক কী ধরনের বা কতটুকু লেখা বা ছবি থাকবে—এই সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা আবশ্যক।
আপনাকে দর্জিকে প্রথম দিনেই নিখুঁত মাপের কাপড় দিতে হবে না, কিন্তু অন্তত এটা তো জানাতেই হবে যে আপনি বিয়েতে পরার জন্য একটি সিল্কের পাঞ্জাবি বানাতে চান, নাকি বন্ধুদের সাথে ট্যুরে যাওয়ার জন্য একটি জিন্সের শার্ট।
শেষ কথা
মনে রাখবেন, ডিজাইন তৈরি হয় কনটেন্টকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য; কনটেন্ট ডিজাইনকে ভরার জন্য তৈরি হয় না। কনটেন্ট হলো রাজা, আর ডিজাইন হলো সেই রাজার জন্য বানানো যোগ্য সিংহাসন।
তাই, পরেরবার ওয়েবসাইট বানানোর আগে যখন কেউ আপনাকে বলবে "ডিজাইন আগে বানান, কনটেন্ট পরে দেবো", তখন তাকে ওই দর্জি আর কাপড়ের গল্পটা শোনাবেন।
আর নরম সুরে জিজ্ঞেস করবেন, "ভাই, কাপড় ছাড়া শার্ট বানাতে দেখেছেন কখনো?"
'কনটেন্ট পরে আসবে'—এই ধারণাটি হলো UX জগতের একটি ক্লাসিক এবং মারাত্মক মিথ। ডিজাইন এবং কনটেন্টকে দুটি আলাদা জগৎ ভাবা এবং একটিকে ছাড়া অন্যটির কাজ শুরু করা মানে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা।
সত্যিটা হলো, ডিজাইন এবং কনটেন্ট স্বামী-স্ত্রীর মতো। একটিকে ছাড়া অন্যটি অসম্পূর্ণ এবং প্রায় অর্থহীন। ডিজাইন হলো কনটেন্টের ধারক, আর কনটেন্ট হলো ডিজাইনের আত্মা।
এই ব্যাপারটা পানির মতো সহজে বুঝতে চলুন আমরা আজ এক ক্লায়েন্ট এবং এক দর্জির দোকানে যাই।
গল্প: কাপড় ছাড়া শার্ট বানানোর অর্ডার!
ভাবুন, আপনি একজন নামকরা দর্জির কাছে গেলেন। গিয়ে খুব ভাব নিয়ে বললেন, "ওস্তাদ, আমার জন্য একটা ফাটাফাটি শার্ট বানিয়ে দিন তো!"
দর্জির যৌক্তিক প্রশ্ন: দর্জি স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে জিজ্ঞেস করলো, "অবশ্যই বানিয়ে দেবো, স্যার। কাপড়টা দিন।"
ক্লায়েন্টের অযৌক্তিক উত্তর (মিথটির প্রয়োগ): আপনি জবাবে বললেন, "আরে কাপড় তো এখনও কেনা হয়নি! ওটা পরে দেখা যাবে। আপনি আপনার মতো করে একটা সেরা ডিজাইন বানান, আমার শরীরের মাপ নেন, কাটিং করেন, সুই-সুতা দিয়ে সেলাই করে রাখেন। কাপড় আমি পরে একসময় এনে দেবো।"
এরপর যা ঘটলো: এই কথা শোনার পর দর্জি সম্ভবত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আপনার দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থাকবে। তার মাথায় ঘুরবে হাজারো প্রশ্ন:
কাপড় ছাড়া আমি মাপ দিয়ে কী করব?
সিল্কের কাপড়ের ডিজাইন আর জিন্সের কাপড়ের ডিজাইন কি এক হয়?
কাপড়ের রঙ বা প্রিন্ট না দেখে আমি বোতামের রঙ কীভাবে মেলাবো?
ওয়েবসাইট ডিজাইন করার আগে কনটেন্ট চাওয়াটা ঠিক দর্জির কাপড় চাওয়ার মতোই যৌক্তিক। কনটেন্ট (লেখা, ছবি, ভিডিও) ছাড়া ডিজাইন করাটা অনেকটা কাপড় ছাড়াই শার্ট সেলাই করার মতো একটি হাস্যকর এবং অসম্ভব প্রচেষ্টা।
"লরেম ইপসাম" (Lorem Ipsum) নামক মস্ত বড় ফাঁদ
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ডিজাইনাররা প্রায়ই কিছু অর্থহীন Placeholder Text ব্যবহার করেন, যা "Lorem Ipsum dolor sit amet..." দিয়ে শুরু হয়। কিন্তু এই 'লরেম ইপসাম' একটা মস্ত বড় ধোঁকা। কারণ:
লরেম ইপসাম খুবই সুশৃঙ্খল: এর শব্দগুলো ছোট, লাইনগুলো সমান, প্যারাগ্রাফগুলো নিখুঁত। কিন্তু বাস্তব জীবনের কনটেন্ট এমন গোছানো হয় না।
বাস্তবতার সাথে এর কোনো মিল নেই:
বাস্তব হেডলাইন হতে পারে অনেক লম্বা, যা আপনার সুন্দর ডিজাইন এক মুহূর্তে ভেঙে দিতে পারে।
বাস্তব ব্যবহারকারীর নাম হতে পারে 'কাজী আশরাফুজ্জামান চৌধুরী', যা আপনার ডিজাইনের ছোট্ট "Name" ফিল্ডে কিছুতেই আঁটবে না।
বাস্তব ছবিগুলো হয়তো মোবাইলে তোলা, যা আপনার বানানো নিখুঁত চারকোণা ফ্রেমের সাথে কখনোই মিলবে না।
লরেম ইপসাম দিয়ে ডিজাইন করা মানে একটি ভঙ্গুর কাঁচের ঘর বানানো, যা বাস্তবতার প্রথম আঘাতেই ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।
সঠিক উপায়: 'কনটেন্ট-ফার্স্ট' ডিজাইন
সঠিক এবং কার্যকর পদ্ধতিটি হলো "Content-First" বা 'কনটেন্ট আগে'।
এর মানে এই নয় যে আপনাকে প্রথম দিনেই ওয়েবসাইটে ব্যবহারের জন্য ফাইনাল, নির্ভুল এবং ব্যকরণ-সম্মত কনটেন্ট নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য কী, মূল বার্তা কী, কী কী সেকশন থাকবে, প্রতিটি সেকশনে আনুমানিক কী ধরনের বা কতটুকু লেখা বা ছবি থাকবে—এই সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা আবশ্যক।
আপনাকে দর্জিকে প্রথম দিনেই নিখুঁত মাপের কাপড় দিতে হবে না, কিন্তু অন্তত এটা তো জানাতেই হবে যে আপনি বিয়েতে পরার জন্য একটি সিল্কের পাঞ্জাবি বানাতে চান, নাকি বন্ধুদের সাথে ট্যুরে যাওয়ার জন্য একটি জিন্সের শার্ট।
শেষ কথা
মনে রাখবেন, ডিজাইন তৈরি হয় কনটেন্টকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য; কনটেন্ট ডিজাইনকে ভরার জন্য তৈরি হয় না। কনটেন্ট হলো রাজা, আর ডিজাইন হলো সেই রাজার জন্য বানানো যোগ্য সিংহাসন।
তাই, পরেরবার ওয়েবসাইট বানানোর আগে যখন কেউ আপনাকে বলবে "ডিজাইন আগে বানান, কনটেন্ট পরে দেবো", তখন তাকে ওই দর্জি আর কাপড়ের গল্পটা শোনাবেন।
আর নরম সুরে জিজ্ঞেস করবেন, "ভাই, কাপড় ছাড়া শার্ট বানাতে দেখেছেন কখনো?"
'কনটেন্ট পরে আসবে'—এই ধারণাটি হলো UX জগতের একটি ক্লাসিক এবং মারাত্মক মিথ। ডিজাইন এবং কনটেন্টকে দুটি আলাদা জগৎ ভাবা এবং একটিকে ছাড়া অন্যটির কাজ শুরু করা মানে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা।
সত্যিটা হলো, ডিজাইন এবং কনটেন্ট স্বামী-স্ত্রীর মতো। একটিকে ছাড়া অন্যটি অসম্পূর্ণ এবং প্রায় অর্থহীন। ডিজাইন হলো কনটেন্টের ধারক, আর কনটেন্ট হলো ডিজাইনের আত্মা।
এই ব্যাপারটা পানির মতো সহজে বুঝতে চলুন আমরা আজ এক ক্লায়েন্ট এবং এক দর্জির দোকানে যাই।
গল্প: কাপড় ছাড়া শার্ট বানানোর অর্ডার!
ভাবুন, আপনি একজন নামকরা দর্জির কাছে গেলেন। গিয়ে খুব ভাব নিয়ে বললেন, "ওস্তাদ, আমার জন্য একটা ফাটাফাটি শার্ট বানিয়ে দিন তো!"
দর্জির যৌক্তিক প্রশ্ন: দর্জি স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে জিজ্ঞেস করলো, "অবশ্যই বানিয়ে দেবো, স্যার। কাপড়টা দিন।"
ক্লায়েন্টের অযৌক্তিক উত্তর (মিথটির প্রয়োগ): আপনি জবাবে বললেন, "আরে কাপড় তো এখনও কেনা হয়নি! ওটা পরে দেখা যাবে। আপনি আপনার মতো করে একটা সেরা ডিজাইন বানান, আমার শরীরের মাপ নেন, কাটিং করেন, সুই-সুতা দিয়ে সেলাই করে রাখেন। কাপড় আমি পরে একসময় এনে দেবো।"
এরপর যা ঘটলো: এই কথা শোনার পর দর্জি সম্ভবত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আপনার দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থাকবে। তার মাথায় ঘুরবে হাজারো প্রশ্ন:
কাপড় ছাড়া আমি মাপ দিয়ে কী করব?
সিল্কের কাপড়ের ডিজাইন আর জিন্সের কাপড়ের ডিজাইন কি এক হয়?
কাপড়ের রঙ বা প্রিন্ট না দেখে আমি বোতামের রঙ কীভাবে মেলাবো?
ওয়েবসাইট ডিজাইন করার আগে কনটেন্ট চাওয়াটা ঠিক দর্জির কাপড় চাওয়ার মতোই যৌক্তিক। কনটেন্ট (লেখা, ছবি, ভিডিও) ছাড়া ডিজাইন করাটা অনেকটা কাপড় ছাড়াই শার্ট সেলাই করার মতো একটি হাস্যকর এবং অসম্ভব প্রচেষ্টা।
"লরেম ইপসাম" (Lorem Ipsum) নামক মস্ত বড় ফাঁদ
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ডিজাইনাররা প্রায়ই কিছু অর্থহীন Placeholder Text ব্যবহার করেন, যা "Lorem Ipsum dolor sit amet..." দিয়ে শুরু হয়। কিন্তু এই 'লরেম ইপসাম' একটা মস্ত বড় ধোঁকা। কারণ:
লরেম ইপসাম খুবই সুশৃঙ্খল: এর শব্দগুলো ছোট, লাইনগুলো সমান, প্যারাগ্রাফগুলো নিখুঁত। কিন্তু বাস্তব জীবনের কনটেন্ট এমন গোছানো হয় না।
বাস্তবতার সাথে এর কোনো মিল নেই:
বাস্তব হেডলাইন হতে পারে অনেক লম্বা, যা আপনার সুন্দর ডিজাইন এক মুহূর্তে ভেঙে দিতে পারে।
বাস্তব ব্যবহারকারীর নাম হতে পারে 'কাজী আশরাফুজ্জামান চৌধুরী', যা আপনার ডিজাইনের ছোট্ট "Name" ফিল্ডে কিছুতেই আঁটবে না।
বাস্তব ছবিগুলো হয়তো মোবাইলে তোলা, যা আপনার বানানো নিখুঁত চারকোণা ফ্রেমের সাথে কখনোই মিলবে না।
লরেম ইপসাম দিয়ে ডিজাইন করা মানে একটি ভঙ্গুর কাঁচের ঘর বানানো, যা বাস্তবতার প্রথম আঘাতেই ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।
সঠিক উপায়: 'কনটেন্ট-ফার্স্ট' ডিজাইন
সঠিক এবং কার্যকর পদ্ধতিটি হলো "Content-First" বা 'কনটেন্ট আগে'।
এর মানে এই নয় যে আপনাকে প্রথম দিনেই ওয়েবসাইটে ব্যবহারের জন্য ফাইনাল, নির্ভুল এবং ব্যকরণ-সম্মত কনটেন্ট নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য কী, মূল বার্তা কী, কী কী সেকশন থাকবে, প্রতিটি সেকশনে আনুমানিক কী ধরনের বা কতটুকু লেখা বা ছবি থাকবে—এই সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা আবশ্যক।
আপনাকে দর্জিকে প্রথম দিনেই নিখুঁত মাপের কাপড় দিতে হবে না, কিন্তু অন্তত এটা তো জানাতেই হবে যে আপনি বিয়েতে পরার জন্য একটি সিল্কের পাঞ্জাবি বানাতে চান, নাকি বন্ধুদের সাথে ট্যুরে যাওয়ার জন্য একটি জিন্সের শার্ট।
শেষ কথা
মনে রাখবেন, ডিজাইন তৈরি হয় কনটেন্টকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য; কনটেন্ট ডিজাইনকে ভরার জন্য তৈরি হয় না। কনটেন্ট হলো রাজা, আর ডিজাইন হলো সেই রাজার জন্য বানানো যোগ্য সিংহাসন।
তাই, পরেরবার ওয়েবসাইট বানানোর আগে যখন কেউ আপনাকে বলবে "ডিজাইন আগে বানান, কনটেন্ট পরে দেবো", তখন তাকে ওই দর্জি আর কাপড়ের গল্পটা শোনাবেন।
আর নরম সুরে জিজ্ঞেস করবেন, "ভাই, কাপড় ছাড়া শার্ট বানাতে দেখেছেন কখনো?"
এইসব লেখা নিয়ে কি একটা নিউজলেটার চালু করা উচিত?
মেইলে জানাতে পারেন, ভালো সাড়া পেলে শুরু করতে পারি!