UX Myths (পর্ব ৯): ওয়েবসাইটের হোমপেজই কি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
ওয়েবসাইটের হোমপেজ! বছরের পর বছর ধরে কোম্পানির মালিক, ম্যানেজার আর ডিজাইনাররা এর পেছনেই সবচেয়ে বেশি সময়, অর্থ আর শ্রম দিয়ে আসছেন। হোমপেজের ব্যানারটা কেমন হবে, কোন বাটনটা আগে থাকবে, কী ছবি ব্যবহার করা হবে—এই নিয়ে চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে স্ট্র্যাটেজি মিটিং।



Credit:
Tactic Lab
এই অশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পেছনেই লুকিয়ে আছে একটি পুরোনো কিন্তু জেঁকে বসা মিথ: "আপনার ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেইজ হলো হোমপেজ।"
এককালে হয়তো এই কথাটা সত্যি ছিল, যখন মানুষ ডায়াল-আপ ইন্টারনেট ব্যবহার করতো আর ওয়েবসাইটের ঠিকানা সরাসরি টাইপ করে প্রবেশ করতো। কিন্তু গুগল, ফেসবুক আর স্মার্টফোনের এই যুগে সত্যিটা হলো, আপনার বেশিরভাগ ব্যবহারকারী হয়তো আপনার সাধের হোমপেজটি কোনোদিন চোখেও দেখবে না।
এই ব্যাপারটা পরিষ্কারভাবে বুঝতে চলুন আমরা ঈদের কেনাকাটা করতে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে থাকা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে যাই।
গল্প: বসুন্ধরা সিটির 'হোমপেজ' এবং আপনি
বসুন্ধরা সিটির লেভেল-১ এর বিশাল, জমকালো প্রবেশপথটাকে আপনার ওয়েবসাইটের হোমপেজ হিসেবে ভাবুন।
মিথ অনুযায়ী আপনার শপিং করার ধরণ: আপনি শপিং মলের ওই প্রধান ফটক দিয়েই ঢুকবেন, তারপর চারদিকে তাকিয়ে, এদিক-ওদিক ঘুরে, এক তলা থেকে আরেক তলায় গিয়ে নিজের পছন্দের দোকান খুঁজে বের করবেন।
বাস্তবে আপনি যা করেন: কিন্তু আসলেই কি আপনি প্রতিবার এভাবে শপিং করেন? চলুন, কয়েকটি বাস্তব পরিস্থিতি দেখি:
গুগল সার্চ: আপনি গুগলে সার্চ করলেন "Best leather shoes in Dhaka"। সার্চ রেজাল্টে আপনি Bata-এর শোরুমের সন্ধান পেলেন এবং জানলেন সেটি বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৪-এ। আপনি গাড়ি পার্ক করে সোজা লিফটে করে লেভেল ৪-এ চলে গেলেন। আপনি কিন্তু শপিং মলের 'হোমপেজ' বা প্রধান ফটক ব্যবহার করলেন না।
ফেসবুক লিংক: আপনার এক বন্ধু ফেসবুকে Ecstasy-এর নতুন কালেকশনের ছবি শেয়ার করলো। পোস্টে তাদের শোরুমের ঠিকানা দেওয়া লেভেল ৩। আপনার গন্তব্য এখন সরাসরি লেভেল ৩।
সিনেমা দেখার প্ল্যান: ঈদে নতুন মুভি এসেছে। আপনার গন্তব্য Star Cineplex, যা লেভেল ৮-এ। আপনি অন্য কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা লিফটে করে লেভেল ৮-এ চলে যাবেন।
আপনার ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীরাও ঠিক এভাবেই আসে। তারা গুগল বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া লিংকে ক্লিক করে সরাসরি আপনার কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট পেইজে, ব্লগ পোস্টে বা সার্ভিস পেইজে 'ল্যান্ড' করে। এই ভেতরের পেইজগুলোই হলো তাদের জন্য 'সাইড ডোর' বা পাশের প্রবেশপথ।
এর মানে কী? "Every Page is Page One"
এই "সাইড ডোর" দিয়ে প্রবেশের অর্থ হলো, আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেইজকেই হোমপেজের মতো গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি পেইজকে এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন একজন নতুন ব্যবহারকারী সেখানে এসেই স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে—
সে কোন ওয়েবসাইটে আছে (আপনার কোম্পানির লোগো এবং ব্র্যান্ডিং কি স্পষ্ট?)
এই সাইটে সে আর কী কী করতে বা পেতে পারে (ন্যাভিগেশন মেন্যু কি সহজবোধ্য?)
প্রয়োজনে সে হোমপেজে বা অন্য কোনো জরুরি সেকশনে কীভাবে ফিরে যাবে?
বসুন্ধরা সিটির যেকোনো দোকানে ঢুকলেই আপনি বুঝতে পারেন আপনি বসুন্ধরা সিটিতেই আছেন, পাশের কোনো বিল্ডিংয়ে নয়। প্রতিটি ফ্লোরেই ডিরেক্টরি ম্যাপ বা সাইনবোর্ড থাকে, যা আপনাকে অন্য জায়গায় যেতে সাহায্য করে। আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেইজকেও ঠিক এমনই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।
তাহলে কি হোমপেজ অকেজো?
না, হোমপেজ মোটেও অকেজো নয়। তবে এর ভূমিকা বদলে গেছে। হোমপেজ এখন আর 'প্রধান ফটক' নয়, বরং শপিং মলের 'ইনফরমেশন ডেস্ক' বা 'লবি'-র মতো কাজ করে।
যারা আপনার ব্র্যান্ডের নাম সরাসরি ওয়েবসাইটের ঠিকানায় টাইপ করে আসে, অথবা যারা ভেতরের কোনো পেইজে এসে পথ হারিয়ে ফেলে, তাদের জন্য হোমপেজ হলো সবকিছু একবারে গুছিয়ে দেখে নেওয়ার এবং সঠিক পথে ফিরে যাওয়ার একটি জায়গা।
শেষ কথা
আপনার হোমপেজকে 'রাজা'র মতো একক খাতির করা বন্ধ করুন। আপনার রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক, অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেইজই সমান গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনি জানেন না আপনার ডিজিটাল সাম্রাজ্যের কোন নাগরিকের সাথে ব্যবহারকারীর প্রথম দেখা হয়ে যাবে।
আপনার পুরো ওয়েবসাইটটিকেই বসুন্ধরা সিটির মতো করে ভাবুন, শুধু তার প্রধান ফটকটিকে নয়। কারণ আপনার ব্যবহারকারীরা যেকোনো তলাতেই ল্যান্ড করতে পারে!
এই অশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পেছনেই লুকিয়ে আছে একটি পুরোনো কিন্তু জেঁকে বসা মিথ: "আপনার ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেইজ হলো হোমপেজ।"
এককালে হয়তো এই কথাটা সত্যি ছিল, যখন মানুষ ডায়াল-আপ ইন্টারনেট ব্যবহার করতো আর ওয়েবসাইটের ঠিকানা সরাসরি টাইপ করে প্রবেশ করতো। কিন্তু গুগল, ফেসবুক আর স্মার্টফোনের এই যুগে সত্যিটা হলো, আপনার বেশিরভাগ ব্যবহারকারী হয়তো আপনার সাধের হোমপেজটি কোনোদিন চোখেও দেখবে না।
এই ব্যাপারটা পরিষ্কারভাবে বুঝতে চলুন আমরা ঈদের কেনাকাটা করতে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে থাকা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে যাই।
গল্প: বসুন্ধরা সিটির 'হোমপেজ' এবং আপনি
বসুন্ধরা সিটির লেভেল-১ এর বিশাল, জমকালো প্রবেশপথটাকে আপনার ওয়েবসাইটের হোমপেজ হিসেবে ভাবুন।
মিথ অনুযায়ী আপনার শপিং করার ধরণ: আপনি শপিং মলের ওই প্রধান ফটক দিয়েই ঢুকবেন, তারপর চারদিকে তাকিয়ে, এদিক-ওদিক ঘুরে, এক তলা থেকে আরেক তলায় গিয়ে নিজের পছন্দের দোকান খুঁজে বের করবেন।
বাস্তবে আপনি যা করেন: কিন্তু আসলেই কি আপনি প্রতিবার এভাবে শপিং করেন? চলুন, কয়েকটি বাস্তব পরিস্থিতি দেখি:
গুগল সার্চ: আপনি গুগলে সার্চ করলেন "Best leather shoes in Dhaka"। সার্চ রেজাল্টে আপনি Bata-এর শোরুমের সন্ধান পেলেন এবং জানলেন সেটি বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৪-এ। আপনি গাড়ি পার্ক করে সোজা লিফটে করে লেভেল ৪-এ চলে গেলেন। আপনি কিন্তু শপিং মলের 'হোমপেজ' বা প্রধান ফটক ব্যবহার করলেন না।
ফেসবুক লিংক: আপনার এক বন্ধু ফেসবুকে Ecstasy-এর নতুন কালেকশনের ছবি শেয়ার করলো। পোস্টে তাদের শোরুমের ঠিকানা দেওয়া লেভেল ৩। আপনার গন্তব্য এখন সরাসরি লেভেল ৩।
সিনেমা দেখার প্ল্যান: ঈদে নতুন মুভি এসেছে। আপনার গন্তব্য Star Cineplex, যা লেভেল ৮-এ। আপনি অন্য কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা লিফটে করে লেভেল ৮-এ চলে যাবেন।
আপনার ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীরাও ঠিক এভাবেই আসে। তারা গুগল বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া লিংকে ক্লিক করে সরাসরি আপনার কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট পেইজে, ব্লগ পোস্টে বা সার্ভিস পেইজে 'ল্যান্ড' করে। এই ভেতরের পেইজগুলোই হলো তাদের জন্য 'সাইড ডোর' বা পাশের প্রবেশপথ।
এর মানে কী? "Every Page is Page One"
এই "সাইড ডোর" দিয়ে প্রবেশের অর্থ হলো, আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেইজকেই হোমপেজের মতো গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি পেইজকে এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন একজন নতুন ব্যবহারকারী সেখানে এসেই স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে—
সে কোন ওয়েবসাইটে আছে (আপনার কোম্পানির লোগো এবং ব্র্যান্ডিং কি স্পষ্ট?)
এই সাইটে সে আর কী কী করতে বা পেতে পারে (ন্যাভিগেশন মেন্যু কি সহজবোধ্য?)
প্রয়োজনে সে হোমপেজে বা অন্য কোনো জরুরি সেকশনে কীভাবে ফিরে যাবে?
বসুন্ধরা সিটির যেকোনো দোকানে ঢুকলেই আপনি বুঝতে পারেন আপনি বসুন্ধরা সিটিতেই আছেন, পাশের কোনো বিল্ডিংয়ে নয়। প্রতিটি ফ্লোরেই ডিরেক্টরি ম্যাপ বা সাইনবোর্ড থাকে, যা আপনাকে অন্য জায়গায় যেতে সাহায্য করে। আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেইজকেও ঠিক এমনই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।
তাহলে কি হোমপেজ অকেজো?
না, হোমপেজ মোটেও অকেজো নয়। তবে এর ভূমিকা বদলে গেছে। হোমপেজ এখন আর 'প্রধান ফটক' নয়, বরং শপিং মলের 'ইনফরমেশন ডেস্ক' বা 'লবি'-র মতো কাজ করে।
যারা আপনার ব্র্যান্ডের নাম সরাসরি ওয়েবসাইটের ঠিকানায় টাইপ করে আসে, অথবা যারা ভেতরের কোনো পেইজে এসে পথ হারিয়ে ফেলে, তাদের জন্য হোমপেজ হলো সবকিছু একবারে গুছিয়ে দেখে নেওয়ার এবং সঠিক পথে ফিরে যাওয়ার একটি জায়গা।
শেষ কথা
আপনার হোমপেজকে 'রাজা'র মতো একক খাতির করা বন্ধ করুন। আপনার রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক, অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেইজই সমান গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনি জানেন না আপনার ডিজিটাল সাম্রাজ্যের কোন নাগরিকের সাথে ব্যবহারকারীর প্রথম দেখা হয়ে যাবে।
আপনার পুরো ওয়েবসাইটটিকেই বসুন্ধরা সিটির মতো করে ভাবুন, শুধু তার প্রধান ফটকটিকে নয়। কারণ আপনার ব্যবহারকারীরা যেকোনো তলাতেই ল্যান্ড করতে পারে!
এই অশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পেছনেই লুকিয়ে আছে একটি পুরোনো কিন্তু জেঁকে বসা মিথ: "আপনার ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেইজ হলো হোমপেজ।"
এককালে হয়তো এই কথাটা সত্যি ছিল, যখন মানুষ ডায়াল-আপ ইন্টারনেট ব্যবহার করতো আর ওয়েবসাইটের ঠিকানা সরাসরি টাইপ করে প্রবেশ করতো। কিন্তু গুগল, ফেসবুক আর স্মার্টফোনের এই যুগে সত্যিটা হলো, আপনার বেশিরভাগ ব্যবহারকারী হয়তো আপনার সাধের হোমপেজটি কোনোদিন চোখেও দেখবে না।
এই ব্যাপারটা পরিষ্কারভাবে বুঝতে চলুন আমরা ঈদের কেনাকাটা করতে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে থাকা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে যাই।
গল্প: বসুন্ধরা সিটির 'হোমপেজ' এবং আপনি
বসুন্ধরা সিটির লেভেল-১ এর বিশাল, জমকালো প্রবেশপথটাকে আপনার ওয়েবসাইটের হোমপেজ হিসেবে ভাবুন।
মিথ অনুযায়ী আপনার শপিং করার ধরণ: আপনি শপিং মলের ওই প্রধান ফটক দিয়েই ঢুকবেন, তারপর চারদিকে তাকিয়ে, এদিক-ওদিক ঘুরে, এক তলা থেকে আরেক তলায় গিয়ে নিজের পছন্দের দোকান খুঁজে বের করবেন।
বাস্তবে আপনি যা করেন: কিন্তু আসলেই কি আপনি প্রতিবার এভাবে শপিং করেন? চলুন, কয়েকটি বাস্তব পরিস্থিতি দেখি:
গুগল সার্চ: আপনি গুগলে সার্চ করলেন "Best leather shoes in Dhaka"। সার্চ রেজাল্টে আপনি Bata-এর শোরুমের সন্ধান পেলেন এবং জানলেন সেটি বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৪-এ। আপনি গাড়ি পার্ক করে সোজা লিফটে করে লেভেল ৪-এ চলে গেলেন। আপনি কিন্তু শপিং মলের 'হোমপেজ' বা প্রধান ফটক ব্যবহার করলেন না।
ফেসবুক লিংক: আপনার এক বন্ধু ফেসবুকে Ecstasy-এর নতুন কালেকশনের ছবি শেয়ার করলো। পোস্টে তাদের শোরুমের ঠিকানা দেওয়া লেভেল ৩। আপনার গন্তব্য এখন সরাসরি লেভেল ৩।
সিনেমা দেখার প্ল্যান: ঈদে নতুন মুভি এসেছে। আপনার গন্তব্য Star Cineplex, যা লেভেল ৮-এ। আপনি অন্য কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা লিফটে করে লেভেল ৮-এ চলে যাবেন।
আপনার ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীরাও ঠিক এভাবেই আসে। তারা গুগল বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া লিংকে ক্লিক করে সরাসরি আপনার কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট পেইজে, ব্লগ পোস্টে বা সার্ভিস পেইজে 'ল্যান্ড' করে। এই ভেতরের পেইজগুলোই হলো তাদের জন্য 'সাইড ডোর' বা পাশের প্রবেশপথ।
এর মানে কী? "Every Page is Page One"
এই "সাইড ডোর" দিয়ে প্রবেশের অর্থ হলো, আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেইজকেই হোমপেজের মতো গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি পেইজকে এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন একজন নতুন ব্যবহারকারী সেখানে এসেই স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে—
সে কোন ওয়েবসাইটে আছে (আপনার কোম্পানির লোগো এবং ব্র্যান্ডিং কি স্পষ্ট?)
এই সাইটে সে আর কী কী করতে বা পেতে পারে (ন্যাভিগেশন মেন্যু কি সহজবোধ্য?)
প্রয়োজনে সে হোমপেজে বা অন্য কোনো জরুরি সেকশনে কীভাবে ফিরে যাবে?
বসুন্ধরা সিটির যেকোনো দোকানে ঢুকলেই আপনি বুঝতে পারেন আপনি বসুন্ধরা সিটিতেই আছেন, পাশের কোনো বিল্ডিংয়ে নয়। প্রতিটি ফ্লোরেই ডিরেক্টরি ম্যাপ বা সাইনবোর্ড থাকে, যা আপনাকে অন্য জায়গায় যেতে সাহায্য করে। আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেইজকেও ঠিক এমনই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।
তাহলে কি হোমপেজ অকেজো?
না, হোমপেজ মোটেও অকেজো নয়। তবে এর ভূমিকা বদলে গেছে। হোমপেজ এখন আর 'প্রধান ফটক' নয়, বরং শপিং মলের 'ইনফরমেশন ডেস্ক' বা 'লবি'-র মতো কাজ করে।
যারা আপনার ব্র্যান্ডের নাম সরাসরি ওয়েবসাইটের ঠিকানায় টাইপ করে আসে, অথবা যারা ভেতরের কোনো পেইজে এসে পথ হারিয়ে ফেলে, তাদের জন্য হোমপেজ হলো সবকিছু একবারে গুছিয়ে দেখে নেওয়ার এবং সঠিক পথে ফিরে যাওয়ার একটি জায়গা।
শেষ কথা
আপনার হোমপেজকে 'রাজা'র মতো একক খাতির করা বন্ধ করুন। আপনার রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক, অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেইজই সমান গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনি জানেন না আপনার ডিজিটাল সাম্রাজ্যের কোন নাগরিকের সাথে ব্যবহারকারীর প্রথম দেখা হয়ে যাবে।
আপনার পুরো ওয়েবসাইটটিকেই বসুন্ধরা সিটির মতো করে ভাবুন, শুধু তার প্রধান ফটকটিকে নয়। কারণ আপনার ব্যবহারকারীরা যেকোনো তলাতেই ল্যান্ড করতে পারে!
এইসব লেখা নিয়ে কি একটা নিউজলেটার চালু করা উচিত?
মেইলে জানাতে পারেন, ভালো সাড়া পেলে শুরু করতে পারি!